• প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালত
  • ফিচার
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • অন্যান্য
Daily Nobojug
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালত
  • ফিচার
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • অন্যান্য
No Result
View All Result
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালত
  • ফিচার
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • অন্যান্য
No Result
View All Result
Daily Nobojug
No Result
View All Result
Home অন্যান্য

অবশেষে নূর হোসেনকে ফিরিয়ে দিল ভারত

pinaki by pinaki
November 13, 2015
in অন্যান্য, ঢাকা, সারাদেশ
0
0
SHARES
7
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

অবশেষে দেশে ফিরিয়ে আনা হলো নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে হস্তান্তর করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। পরে র্যা ব–পুলিশ তাঁকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। গত বুধবার বাংলাদেশের কারাগারে আটক উলফা নেতা অনুপ চেটিয়াকে দুই সঙ্গীসহ ভারতে ফেরত পাঠানো হয়।
জানতে চাইলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, রাতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) নূর হোসেনকে বিজিবির হাতে তুলে দেয়।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল সাত খুনের পরে ভারতে পালিয়ে যান নূর হোসেন। ওই বছরের ১৪ জুন কলকাতার বাগুইআটিতে পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে অবস্থানের মামলা হয়। গত মাসে ভারত সরকার সেই মামলা প্রত্যাহার করে নিলে নূর হোসেনের দেশে ফেরার পথ সুগম হয়।
আমাদের কলকাতা প্রতিনিধি জানান, গতকাল ভারতের স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে কলকাতার দমদম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নূর হোসেনকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। কর্মকর্তারা তাঁর নামে একটি পারমিট ইস্যু করে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাহায্যে কঠোর নিরাপত্তায় নূর হোসেনকে নিয়ে যশোরের বেনাপোলের দিকে রওনা দেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) খন্দকার মহিদ উদ্দিন গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে আদালতের জারি করা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে পুলিশের একটি দল যশোরের বেনাপোলে গেছে। এসপি বলেন, নূর হোসেনের বিরুদ্ধে সাত খুনসহ সব মিলিয়ে ১৩টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। এর মধ্যে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে এক বছরের কারাদণ্ডও হয়েছে তাঁর।
গত বছরের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে দুটি গাড়িতে থাকা সাতজনকে অপহরণ করা হয়। এর মধ্যে একটি গাড়িতে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম এবং তাঁর সহযোগীরা। অন্য একটি গাড়িতে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ আদালতের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন সরকার ও তাঁর গাড়িচালক। তিন দিন পরে অপহৃত ব্যক্তিদের লাশ ভেসে ওঠে নারায়ণগঞ্জের উপকণ্ঠে শীতলক্ষ্যা নদীতে। এ ঘটনা সারা দেশে হইচই ফেলে দেয়।
অপহরণের পরদিন অপহৃত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ফতুল্লা থানায় নূর হোসেনসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলার এজাহারে ‘র্যা বকে দিয়ে’ অপহরণের অভিযোগ করা হয়। তিন দিন পরে লাশ উদ্ধার হলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। পরে আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে আরেকটি হত্যা মামলা করেন।
কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম প্রথমে র্যা বের বিরুদ্ধে ‘ছয় কোটি টাকা নিয়ে’ অপহরণ ও হত্যার অভিযোগ করেন। অর্থায়নকারী হিসেবে তিনি নূর হোসেনকে অভিযুক্ত করেন। পরে তদন্তে এ ঘটনার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জে র্যা ব-১১-এর কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা বের হয়ে আসে। র্যা ব-১১-এর তৎকালীন অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লে. কমান্ডার এম এম রানাসহ অন্য সদস্যরা মিলে ওই সাতজনকে অপহরণের পর হত্যা করে পেট চিরে লাশ নদীতে ফেলে দেন বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে। প্রায় এক বছর তদন্তের পরে গত এপ্রিলে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এতে র্যা বের ওই তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
নূর হোসেন হলেন অভিযোগপত্রভুক্ত ১ নম্বর আসামি। অভিযুক্ত ৩৫ জনের মধ্যে বর্তমানে র্যা বের তিন কর্মকর্তাসহ ২২ জন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। ২২ জনই ঘটনার সঙ্গে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। পলাতক আসামিদের মধ্যে র্যা বের আট সদস্য রয়েছেন।
ট্রাকচালকের সহকারী হিসেবে জীবন শুরু করা নূর হোসেন ১৯৯২ সালে বিএনপির সাবেক সাংসদ গিয়াসউদ্দিনের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে যোগ দেন বিএনপিতে। সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে তিনি শামীম ওসমানের হাত ধরে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ইউনিয়ন কাঁচপুর শাখার সভাপতি হন। তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৩টি মামলা হয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তাঁকে ধরিয়ে দিতে ইন্টারপোলে রেড নোটিশও পাঠানো হয়। ২০০৮ সালে সংসদ নির্বাচনের পর তিনি এলাকায় ফেরেন। পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে তিনি ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কাঁচপুরে শীতলক্ষ্যা নদী দখল করে বালু-পাথরের ব্যবসা, উচ্ছেদে বাধা, পরিবহনে চাঁদাবাজিসহ নানা কারণে বারবার আলোচনায় আসেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় ছয়টি হত্যা মামলাসহ ২২টি মামলা রয়েছে।
নূর হোসেনকে দেশে ফেরত আনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি গতকাল রাতে বলেন, নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। এই হত্যাকাণ্ডে তাঁর সঙ্গে আর কারা জড়িত, পরিকল্পনাকারী কারা তা বের করা হোক। তিনি বলেন, তাঁর স্বামীর সঙ্গে র্যা বের কোনো বিরোধ ছিল না। তাই নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী কারা, তা বের করা হোক। কারণ, মামলার অভিযোগপত্রে পরিকল্পনাকারী কে, তা আসেনি।
সেলিনা ইসলামের মতো একই দাবি করেছেন নিহত মনিরুজ্জামানের ভাই মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, নূর হোসেনের সঙ্গে র্যা বের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সম্পর্ক এক দিনে গড়ে ওঠেনি। তাই নূর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেই হত্যার পরিকল্পনাকারী ও খুনিরা শনাক্ত হবে।

Tags: slider
Previous Post

রাজধানীতে মিলিটারি পুলিশকে কুপিয়ে জখম, আটক ১

Next Post

সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর

Next Post

সাকা-মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর

হাউজ নং ৫৯৪, ৯৮, কাওরান বাজার
ঢাকা-১২১৫, বাংলাদেশ

ইমেইলঃ [email protected]
বিজ্ঞাপনঃ [email protected]

সম্পাদকঃ ইসরাত রশিদ

সহ-সম্পাদক- জনি জোসেফ কস্তা

সিনিয়র সহ-সম্পাদকঃ নুরুল হুদা

উপদেষ্টাঃ নূর মোহাম্মদ

প্রকাশকঃ আলী আমিন ও মোহাম্মদ ওমর সানী

  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালত
  • ফিচার
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • অন্যান্য

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.

No Result
View All Result
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালত
  • ফিচার
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • অন্যান্য

© 2025 JNews - Premium WordPress news & magazine theme by Jegtheme.